
প্রকাশিত: Tue, Aug 8, 2023 11:21 PM আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 1:25 PM
কোনো দিন যিনি মাথা নোয়াননি
শামসুদ্দিন পেয়ারা, ফেসবুক থেকে: আওয়ামি লিগের একজন বড় নেতা জনাব শামসুল হক (ইসলাম?) যার বাড়ি বৃহত্তর ঢাকা জেলার কোথাও ছিল (দুঃখিত, আমি তাঁর সম্পর্কে আর কিছু জানি না), যিনি উচ্চকণ্ঠ ও সুশিক্ষিত ছিলেন, চমৎকার ইংরেজি বলতেন, বঙ্গবন্ধুর খুব ঘনিষ্ঠ ও স্নেহাস্পদ ছিলেন, যিনি ১৯৭৩-এর ৫ সেপ্টেম্বরে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত ৪র্থ ন্যাম (জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্রসমুহের সংগঠন, এক সময়ে অত্যন্ত শক্তিশালী, (বর্তমানে দুর্বল) সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী ছিলেন, তাঁর কাছে একদিন জনাব আমানুল্লাহর দিলকুশার অফিসে বসে শুনেছিলাম, আলজিয়ার্স সম্মেলনের মধ্যবর্তী কোনও এক সময়ে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে বাদশাহ ফয়সালের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা হয়েছিল। সৌদি আরব তখনো বাঙলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তার দরুন বাঙলাদেশের লোকেরা হজে যেতে পারছিলেন না। বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য ছিল বাঙলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বাদশাহ ফয়সালকে অনুরোধ করা, যাতে করে বাঙলাদেশের হজপালনেচ্ছু মানুষ পবিত্র ধর্মকর্মটি সম্পাদন করতে পারেন।
বঙ্গবন্ধুর এ অনুরোধে বাদশাহ তেমন কোনও উৎসাহ না দেখিয়ে বরং বাঙলাদেশের নাম ইসলামিক রিপাবলিক রাখার জন্য চাপ দেন এবং এটাকে বাঙলাদেশকে স্বীকৃতির শর্ত বলে উল্লেখ করেন। বাদশাহ ফয়সালের এই শর্তারোপে বঙ্গবন্ধু এক সেকেন্ডের জন্য চুপ করে যান। তাঁর চেহারায় ফুটে উঠতে থাকে সেই দুঃসাহসী দুর্বিনীত শেখ মুজিবের আসল মুখ যার অধিকারী মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও কখনো নিজের যা বলার তা বলতে বিন্দুমাত্র ভয় করেননি।
দৃশ্যতঃ মর্মাহত বঙ্গবন্ধু তখন বাদশাহ ফয়সলকে বললেন, ‘ইউর এক্সেলেন্সি, আপনি আমাকে ইসলামের কথা বলছেন? কোথায় ছিল সেদিন আপনার ইসলাম যখন ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তানের মুসলিম সৈন্যরা লক্ষ লক্ষ নিরীহ মুসলমান বাঙালিকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, তাদের নারীদের সম্ভ্রমহানি করেছে? আর আপনি এখন আমাকে বলছেন এক ইসলামিক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে লড়াই করে মাত্রস্বাধীন হওয়া বাঙলাদেশকে আবারো আরেকটা ইসলামিক রিপাবলিক বানানোর জন্য। আপনার নিজের দেশের নামই তো হচ্ছে কিংডম অব সাউদি আরাবিয়া, ইসলামিক কিংডম অব আরাবিয়া নয়। বাঙলাদেশ কখনোই ইসলামিক রিপাবলিক হবে না।
সেখানে উপস্থিত অন্য মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানগণ বঙ্গবন্ধুর এই প্রজ্ঞা প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব স্পষ্টবাদিতা ও সাহস দেখে বিমোহিত হন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ারি বুমেদিয়েন এসে বঙ্গবন্ধুকে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং অন্য কক্ষে নিয়ে যান।
এই ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। জীবনে কখনো মাথা নোয়ান নাই। নোয়ালে এখনো আমাদেরকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়েই বেঁচে থাকতে হতো। পিয়নের উপরে চাকুরি পেতাম না। মুদি দোকানদারির বাইরে কোনো ব্যবসা করতে পারতাম না। সালমান রহমানের নিউমার্কেটে একটা দোকান থাকতো, এস আলম ইসলামি ব্যাঙ্কের সামনে টেবিল বসিয়ে ছেঁড়া নোট পাল্টানোর ব্যবসা করতো। এক শ’ টাকার ছেঁড়া নোট বদলে নিরানব্বুই টাকা নব্বুই পয়সা দিত। আর আমাদেরকে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পাহাড়তলী, ঝাউতলা, সৈয়দপুরে বিহারি পোলাপানের চড়-থাপ্পড় খেয়ে বেঁচে থাকতে হতো।
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
